সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান ও ইকবালুর রহিমের পরিবারের নামে দুর্নীতির ৫ মামলা
০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম | আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান ও সন্তান ফাহিম খানের নামে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একই অভিযোগে দিনাজপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম ও তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানের নামে মামলা করেছে দুদক।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন ঢাকার সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে বুধবার (৮ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানায়।
মামলাগুলোর মধ্যে সাদেক খানের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তার ২৯ ব্যাংক হিসাবে ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় মামলায় ফেরদৌসী খান ও ফাহিম খানের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২১ টাকা ও ৬ কোটি ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৫২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ফেরদৌসী খানের ১৫১টি ব্যাংক হিসাবে ৭২ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ১০৬ টাকা লেনদেন ও ফাহিম খানের ৭০টি ব্যাংক হিসাবে ৩৬ কোটি ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ১৩৮ টাকার লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আর সাবেক এমপি ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৬২০ টাকা ও ১২ ব্যাংকের ২৪টি হিসাবে ৭১ কোটি ১ লাখ ৬ হাজার ৭০৩ টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে পৃথক আরও একটি মামলায়।
এছাড়া তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানের বিরুদ্ধে ৭৪ লাখ ৮২ হাজার ৫৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। যে অভিযোগে পঞ্চম মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গত বছরের ২৪ আগষ্ট মাসে সাদেক খানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ১৫ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান নামে দুদক। মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় সাদেক খানকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোহাম্মদপুর-আদাবর ও শেরেবাংলা নগর থানার একাংশ নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাদেক খান।
অন্যদিকে গত বছরের নভেম্বরে ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তার ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে নিজ নামে এবং পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।
দুদকের সদর দপ্তরের ৩ সদস্যের অনুসন্ধান টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন। দুদকের পরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হকের নেতৃত্বে টিমের অপর সদস্যরা হলেন—সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী ও উপসহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান খান।
বিভাগ : রাজনীতি
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
নোয়াখালীতে বাসচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু,আহত ২
মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে নওগাঁ
নির্বাচনের রোড ম্যাপ দেন অতিসত্বর : আবুল কালাম আজাদ
উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ করা হল ‘হট ডগ’
সিংগাইরে ১ সপ্তাহে আত্মহত্যা-৬
মির্জাপুরের অবৈধ সেই ৭ ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে
সীমান্তে সাহসী বাংলাদেশিরা, অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে পুরো দেশকে
দাবানলে পুড়ছে প্যারিস হিলটন, অ্যান্টনি হপকিন্সের কোটি টাকার বাড়ি
‘অতিথি দেবতার মতো’, এই নীতিতে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ালো ভারত
ভূরুঙ্গামারী মহিলা কলেজের গভর্ণিং বডির সদস্য নির্বাচনে মনোনয়ন পত্রের মূল্য ১০ হাজার টাকা
গোয়ালন্দে পাখিদের নিরাপদ আবাসনে গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি বসাচ্ছেন একদল যুবক
নভোএয়ার এর ১২ বছরের সাফল্য উদযাপন
ফরিদপুরে বিল্ডিংয়ের দরজার পাশে পড়েছিল কেয়ারটেকারের হাত-পা বাঁধা মরদেহ
ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি
আবারও অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে স্মিথ
‘৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের বেশিরভাগই চাকরিতে যোগ দিতে পারবে’
বিএনপির ২২৭৬ নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে
ভোটার এবার আগের মত ভোট হবে না-মৌলভীবাজারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন
ইহুদি খ্রিস্টানদের স্বর্গরাজ্য পুড়ে ছাই হচ্ছে!
জালিয়াতির প্রশ্ন তুলে শিরোপা হারালেন মিস ইউনিভার্স